ডিএ -এর দাবীতে বরাবরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এমনকী ডিএ পাওয়ার দাবিতে আন্দোলনে পর্যন্ত নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই আন্দোলন এক নতুন দিকে মোড় দিতে চলেছে।
বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে যে, ডিএ -এর দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ইতিমধ্যেই তার ২৩ দিন পেড়িয়ে গিয়েছে। আন্দোলনের জেরে অনেক আন্দোলনকারী কর্মীই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, কিন্তু কোনোভাবেই আন্দোলন থেকে পিছপা হতে রাজি নন আন্দোলনকারী কর্মীরা। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে যে বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে নির্ধারিত এই ৩ শতাংশ ডিএ নিতে নারাজ আন্দোলনকারী কর্মীরা। আর তাতেই ডিএ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর সিদ্ধান্ত নিতে উদ্যোগী হয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মীরা।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, আন্দোলনকারী কর্মীদের তরফে ডিএ -এর দাবিতে আগত ২০শে ফেব্রুয়ারি এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের সমস্ত দপ্তরগুলিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। এমনকী রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের একাংশও। তবে ২০ তারিখ এবং ২১ তারিখের এই পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি কতোটা সফল হতে চলেছে তা নিয়ে জোর কদমে চর্চা চলছে ওয়াকিবহাল মহলের ব্যক্তিত্বদের মধ্যে।
সকলের কাছে আসছে এই মেসেজ। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ নিয়ে আবার জারি হলো নতুন আপডেট।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ সংক্রান্ত এই আন্দোলনকে মোটেই আমল দিতে রাজি নন রাজ্য সরকার। আর তাতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দপ্তরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে যাতে জানানো হয়েছে যে, আগামী ২০শে এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে সরকারি কর্মচারীরা অর্ধ দিবস বা পূর্ণদিবস কোনোরকম ছুটি পাবেন না (Holiday)। এমনকী যেসমস্ত কর্মচারীরা ১৭ তারিখে ছুটির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তাদেরও ২০ তারিখ এবং ২১ তারিখ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে হাজিরা দিতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে জানানো হয়েছে যে, যেসকল কর্মচারীরা কোন বিশেষ কারণবশত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অথবা যেসমস্ত কর্মচারীদের বাড়িতে কোনোরকম শোকের ঘটনা অথবা দুর্ঘটনা ঘটেছে তারা এই ২ দিন ছুটি নিতে পারবেন। এর পাশাপাশি যেসমস্ত কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার কারণে হসপিটালে ভর্তি রয়েছেন তারাও এই ২ দিন ছুটি পাবেন। এছাড়াও যেসমস্ত কর্মচারীদের ছুটি ১৭ তারিখের পূর্বে মঞ্জুর করা হয়েছে এবং যেসমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মীরা চাইল কেয়ার লিভ, মেটারনিটি লিভ অথবা পে লিভে রয়েছেন তারাই একমাত্র এই ২ দিন ছুটি পেতে চলেছেন। এর বাইরে যেসমস্ত কর্মীরা রয়েছেন তাদের ২০ তারিখ এবং ২১ তারিখ অবশ্যই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে হাজিরা দিতে হবে নতুবা তাদের বেতন বাদ যেতে চলেছে (Holiday)।
প্রকাশিত হলো মাধ্যমিকের ফাইনাল রুটিন। পরীক্ষা দিতে যাবার আগে দেখে নিন
রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা এই নির্দেশিকায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরো জানানো হয়েছে যে, যেসমস্ত কর্মচারীরা ২০ তারিখ অথবা ২১ তারিখ উপস্থিত হবে না তাদের উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে শো কজ করবেন। এক্ষেত্রে যথাযথ কারণ দেখিয়ে সঠিক নথিপত্র জমা করতে পারলে উক্ত ব্যক্তিকে কোনোরূপ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না, তবে যেসমস্ত কর্মীরা যথাযথ কারণ দেখাতে পারবেন না তাদের বেতন বাদ যেতে চলেছে। এমনকী কোনো কর্মী যদি এই শো কজের উত্তর না দেন তবে তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে এমন তাই জানানো হয়েছে এই নির্দেশিকায়।