অন্যান্য

WB Strike – ১০ মার্চ গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ধর্মঘট। বন্ধ থাকতে চলেছে স্কুল-কলেজ, অফিস সহ সমস্ত কিছু।

রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ অর্থাৎ ডিয়ারনেস অ্যাল্যাওয়েন্সকে কেন্দ্র করে বিতর্ক কোনোমতেই থামছে না। আর এবারে এই বিতর্ককে আরো উসকে দিয়ে প্রশাসনিক ধর্মঘটের (WB Strike) ডাক দিল আন্দোলনকারী কর্মীরা।

আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনটাই জানানো হয়েছে আন্দোলনকারী কর্মীদের তরফে। রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হলেও তা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মীরা। বকেয়া ডিএ-এর পাশাপাশি সরকারি পদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ সহ বিভাজনের রাজনীতি বাদে সুষ্ঠুভাবে প্রশাসন পরিচালনার দাবিকে সামনে রেখেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে।

আর নিজেদের ক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য ইতিপূর্বেও আন্দোলনকারী কর্মীরা একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর এক্ষেত্রে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হলো ২০শে এবং ২১শে ফেব্রুয়ারির পূর্ণদিবস কর্মবিরতি। যদিও এই পূর্ণদিবস কর্মবিরতি বন্ধ করার জন্য রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তরের তরফে সকল রাজ্য সরকারি কর্মীকে ২০শে এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি তাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, আন্দোলনকারীদের তরফে বিগত সোম এবং মঙ্গলবার যে পূর্ণদিবস কর্মবিরোধী আহ্বান জানানো হয়েছিল তাতে যথেষ্ট ভালো ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ আবার রিজেক্ট করা শুরু হলো। কি কি কারনে রিজেক্ট করা হচ্ছে এবং এর সমাধান কি?

আর তাতেই এবারে আরও একটি সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হলো আন্দোলনকারী কর্মীদের তরফে। আন্দোলনকারী কর্মীদের পক্ষ থেকে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, আগামী ১০ই মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘট ডাকা হবে (WB Strike)। যদিও ইতিপূর্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যেযে, ৯ই মার্চ ধর্মঘট ডাকা হবে কিন্তু ওই দিন রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিকের শারীরশিক্ষা বিষয়ক পরীক্ষা রয়েছে। অন্যদিকে, মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষার দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষার রয়েছে। আর তাই আগামী মাসের অর্থাৎ মার্চ মাসের ১০ তারিখে রাজ্যব্যাপী প্রশাসনিক ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারী কর্মীদের তরফে।

প্রকাশিত হলো আবাস যোজনা ২০২২-২০২৩ এর শহরের লিস্ট। আপনার নাম রয়েছে কিনা এখনই চেক করুন

এর পাশাপাশি আন্দোলনকারী কর্মীদের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে, ১০ই মার্চ রাজ্যজুড়ে স্কুল, কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মঘট ডাকা হবে। তবে হাসপাতাল সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবা কেন্দ্রগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের এইরূপ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে জানানো হয়েছে যে, আগামী দিনে রাজ্যে কোনোরূপ বনধ হতে দেওয়া যাবে না। আর তাতেই ১০ই মার্চ কি হতে চলেছে তা জানতে রীতিমতো উৎসুক হয়ে উঠেছেন সমগ্র রাজ্যের নাগরিকরা।

Related Articles

Back to top button