রাজ্য সরকারের প্রকল্প

Lakshmir Bhandar New Rules – লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের নয়া নিয়ম। না মানলে কোনোভাবেই পাওয়া যাবেনা টাকা।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে বাংলার নারী উন্নয়নের জন্য কার্যকর প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। আর এবারে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে আরো এক নতুন নির্দেশিকা জারি করা হলো রাজ্য সরকারের তরফে (Lakshmir Bhandar New Rules)।

রাজ্য সরকার তরফে জারি করার নিয়ম অনুসারে ২৫ বছর থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় তাদের ক্যাটাগরি অনুসারে ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা অনুদান পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে জেনারেল এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলারা প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলাদের প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে।

এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার তরফে আরো জানানো হয়েছে যে, এই নতুন বছর থেকে ২০২৩ সাল থেকে ৬০ বছরের অধিক বয়সী মহিলারাও এই লক্ষীর ভান্ডারের আওতায় বার্ধক্য ভাতার টাকা পাবেন। অর্থাৎ আলাদা করে তাদের আর বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করতে হবে না। সুতরাং, যেসমস্ত মহিলারা বর্তমানে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় ৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন, তারা ৬০ বছরের পর এই প্রকল্পের আওতায় ১০০০ টাকা করে পেয়ে যাবেন।

প্রকাশিত হলো প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সংশোধনী তালিকা। আপনার নাম চেক করুন

তবে ইতিপূর্বে ২০২২-এর একেবারে শেষে লক্ষ্মীর ভান্ডার সংক্রান্ত অনিয়ম বন্ধ করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে আরো এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। আর এই নির্দেশিকা অনুসারে এবার থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ইতিপূর্বে যেসমস্ত আবেদনকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আধার নম্বর লিঙ্ক করা ছিল না তারাও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় অনুদান পেতেন। এমনকী যেসমস্ত আবেদনকারীদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল তাদেরও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় অনুদান প্রদান করা হতো (Lakshmir Bhandar New Rules)।

তবে এবার থেকে যেসমস্ত মহিলাদের আধার নম্বর এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর লিংক করা থাকবে না তারা কোনোভাবেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় অনুদান পাবেন না এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায়। এর পাশাপাশি এই নির্দেশিকায় আরো জানানো হয়েছে যে, যেসকল মহিলাদের সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট রয়েছে তারাই কেবলমাত্র লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন।

অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে পুনরায় রাজ্যজুড়ে স্কুল, কলেজ বন্ধের সম্ভাবনা।

২০২২-এর নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে রাজ্যব্যাপী লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের যেসমস্ত ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছিল তাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মের পাশাপাশি আধার প্রমাণিকরণের একটি ফর্ম জমা দিতে হয়েছিল আবেদনকারীদের। আগামী দিনেও একইভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের এই ফর্ম জমা দিতে হবে। আধার প্রমাণিকরণের এই ফর্ম ছাড়া কোনোভাবেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

এমনকী কোনোক্ষেত্রে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হলেও মহিলারা কোনোভাবেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় অনুদান পাবেন না বলেই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, ইতিপূর্বে বহু সংখ্যক মহিলা বয়সের নথি জাল করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় অনুদান গ্রহণ করেছিলেন। আগামীতে যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যই রাজ্য সরকারের তরফে এই আধার প্রমাণিকরণের ফর্ম কার্যকর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে আরো জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই রাজ্য জুড়ে পুনরায় দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। সুতরাং, আগামী দিনে যেসমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন জানাতে চাইছেন তাদের উপরোক্ত সমস্ত বিষয়গুলি খেয়াল রেখে তবেই আবেদন জানাতে হবে।

এমনকী ইতিপূর্বে যেসমস্ত মহিলারা ২০২২ সালের একেবারে শেষে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় অনুদান জানিয়েছিলেন তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি সঠিকভাবে সম্পন্ন না করা হলে তারাও কোনোভাবেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় অনুদান পাবেন না বলেই জানানো হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে।

Related Articles

Back to top button