west-bengal-govt-empolyees-da-hike-leatest-news
Advertisement

খুশি সরকারি কর্মীরা, বাকিটা জানতে পড়ুন বিস্তারিত।

রাজ্য সরকারের কর্মীদের একাংশের মধ্যে খুশির হাওয়া। ভোটের আগেই পকেটে ঢুকতে চলেছে মোটা টাকা। ১৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতে চলেছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। স্বভাবতই, আনন্দের রেশ এবার ছড়িয়ে পড়েছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু আনন্দিত হওয়ার আগে সম্পূর্ণটা জেনে নিন, নয় বিভ্রান্ত হতে পারেন।

Advertisement

রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারীরা ডিএ কিংবা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলন করছেন। কর্মবিরতি, অনশন, ধর্না-সহ হয়েছে অনেক কিছুই। রাজনৈতিক চাপ এবং সরকারি অফিসের অচলাবস্থার কথা মাথায় রেখে বাধ্য হয়েই রাজ্য সরকার ঘোষণা করে তিন শতাংশ ডিএ-এর। কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেই টাকা অত্যন্ত নগণ্য। সেহেতু আন্দোলন বজায় থেকেছে দীর্ঘদিন। তবে এবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সুবিধার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার।

Advertisement

সমস্যায় আমজনতা! স্কলারশিপ থেকে রেশন প্রকল্প বন্ধ হতে পারে সব কিছু, কিন্তু কেন? জানুন।

রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীরা ১৬ শতাংশ হারে ডিয়ারনেস অ্যালাউয়েন্স কিংবা মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছেন শীঘ্রই। শীঘ্রই এই বিশেষ কিছু স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা ১৬ শতাংশ হারে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পাবেন। মাথায় রাখবেন পাঠক, সবাই কিন্তু পাবেন না। এতদিন পর্যন্ত এই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা ১২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পেতেন। তবে এবার থেকে বর্ধিত হাড়ে অর্থাৎ ১৪১ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছেন ওই বিশেষ স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা। তবে অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরা পূর্ব নির্ধারিত ৬ শতাংশ হারেই মহার্ঘ ভাতা পাবেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা এই ১৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতে চলেছেন? শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের গেটিং স্কুল এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা উক্ত নির্ধারিত হারে পেতে চলেছেন মহার্ঘ ভাতা। আসলে এই সমস্ত স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা কিংবা শিক্ষা কর্মীদের বেতন নির্ধারিত হয় স্কুলের গভর্নিং বডি দ্বারা। তবে ডিএ-র টাকা দেয় রাজ্য সরকার।

সে হেতু শুধুমাত্র এই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরাই ১৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতে চলেছেন। তবে শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্তে খুব প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষক সংগঠনের একাংশ। তারা জানান বিগত দুই বছর ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে ডিএ। এখন সেই টাকা দেওয়া হবে কিনা তা নিয়েই রয়েছে সন্দেহ। এই আবহে শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যায়, বলে মনে করেন তারা।