পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী নাগরিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বরাবরই রাজ্য সরকারের তরফে নানাধরনের প্রকল্প, যোজনা কার্যকর করা হয়ে থাকে। তবে অনেকক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানিয়েছেন যে, রাজ্য সরকারের এতো চেষ্টা সত্ত্বেও রাজ্যের বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরী এই সমস্ত পরিষেবাগুলি পৌঁছাচ্ছে না। আর তাতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী এই সমস্ত নাগরিকদের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কার্যকরী প্রকল্প থেকে শুরু করে যোজনা এবং স্কলারশিপ -এর মতো সুবিধাগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এবার এক নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন – Link
এবার রাজ্যের সমস্ত নাগরিকরা যাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কার্যকরী সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগে এক নতুন পদক্ষেপ কার্যকর করা হয়েছে, যা কমন হাউসহোল্ড রেজিস্ট্রি বা সোশ্যাল রেজিস্ট্রি (Social Registry) নামে বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী এই উদ্যোগে রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের তথ্য একত্রিত করা হবে এবং পরবর্তীতে তা যাচাই করা হবে। তথ্য যাচাই করার পর দেখা হবে কোন কোন পরিবারের সদস্যরা কোনো প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ার যোগ্য আর সেক্ষেত্রে যদি কোনো ব্যক্তি ওই প্রকল্পের আওতায় না থেকে থাকেন তবে তাকে উক্ত প্রকল্পের আওতাভুক্ত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
এভাবেই রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের নাম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরী প্রকল্পগুলির অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। রাজ্যে বসবাসকারী নাগরিকরা যাতে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করার জন্যই এই উদ্যোগ কার্যকর করা হয়েছে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এর পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে, রাজ্যে বসবাসকারী নাগরিকদের যেকোনো প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে যাতে সরকারি দপ্তরে গিয়ে লম্বা লাইন না দাঁড়াতে হয় তার জন্যই রাজ্য সরকারের তরফে এরূপ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে (Social Registry)।
প্রকাশিত হলো স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নতুন লিস্ট। আপনার নাম রয়েছে কিনা এখনই চেক করুন।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার কর্মকর্তাদের আগামী দুই মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। এমনকী রাজ্য সরকারের তরফে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে এই নতুন উদ্যোগটির সূচনা করা হয়েছে। এছাড়াও অযোগ্য উপভভোক্তাদের সহজে নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও এই প্রকল্প একইভাবে কার্যকরী হবে বলেই আশা রাখছেন নবান্নের কর্মকর্তারা। ফলত অযোগ্য উপভভোক্তারা যাতে রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী এই সমস্ত প্রকল্পগুলির আওতায় অনুদান না পান তা যেমন সহজভাবে নিশ্চিত করা যাবে, ঠিক তেমনভাবেই যোগ্য উপভভোক্তাদের অনুদান দেওয়ার প্রক্রিয়াও যথেষ্ট সহজ সরল হয়ে যাবে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে নবান্নের তরফে।