দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ১০০ দিনের কাজ। অনেকেই নিজেদের বকেয়া টাকা এখনো পাননি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে যে টাকা দেওয়া হবে না। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে তরজা চরমে উঠেছে এই নিয়ে। জানা যাচ্ছে, এই খাতে কয়েকশো কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে কেন্দ্রের। এই টানাপোড়ানোর মাঝে ভুক্তভোগী হচ্ছেন খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষ।
কিন্তু ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তরফে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা অর্থাৎ জব কার্ডের টাকা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নথিপত্র জমা করাতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী জব কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দিল তা নিয়ে বিশেষ আমল করছেন না এই খেটে খাওয়া মানুষগুলি। বিগত দু’বছর ধরে এক টাকাও পাননি ১০০ দিনের কাজ করা মানুষরা। ফলত তাদের মধ্যেও আর মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করানোর কোন উৎসাহ নেই। এই নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েতের সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে বাড়ি গিয়ে সবার খোঁজ নিতে। তাদের জব কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করানো হয়নি তাদের বাড়িতে গিয়ে লিংক করিয়ে দিতে হবে। কিন্তু ওপরমহলের নির্দেশ শর্তেও সেই নির্দেশ পালন করতে ভয় পাচ্ছেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। গত দু’বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া মানুষগুলোর মুখোমুখি হওয়ার সাহস দেখাচ্ছেন না তারা। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক জেলার নোডাল অফিসার জানান, মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করার কাজ সবেমাত্র ৫০ শতাংশের কিছু কম সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন সরকারী হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৫ লক্ষ ২২ হাজার জব কার্ড হোল্ডার রয়েছেন তার জেলায়। তার মধ্য থেকে মাত্র ২ লক্ষ জব হোল্ডার জব কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করিয়েছেন।
আরও পড়ুন:- ভারতে চালু হলো ১১ টি নতুন টাকা। আপনি কিভাবে পাবেন জেনে নিন।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, মানুষ কেন্দ্রের বঞ্চনা সহ্য করতে করতে বিরক্ত। সাধারণ মানুষের কথা ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই দাবি ওই নেতার। তবে সরকারি যে তথ্য সামনে আসছে তা নিঃসন্দেহে চিন্তার। সকলকেই নিজেদের জব কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর এবং আধার লিঙ্ক করানো প্রয়োজন। নচেৎ যদি কেন্দ্রীয় সরকার কখনো টাকা ছাড়ে তাহলেও সেই টাকা ঢুকবে না ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। অবশ্য, বাংলার মানুষকে কবে এই ১০০ দিনের কাজের টাকা কবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনো কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।